সেভাবেই সারা রাত শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয়। কখন যে সে জ্ঞান হারিয়েছিলো তা তার খেয়ালও নেই।
আমি যে সাব্বিরের কথা বলছি, তার বয়স ১৬ বছর, বাবার নাম গুরা মিয়া, আর মা ছমুদা খাতুন। বড় দুই ভাই হারুন ও রেজাউলের কাঁধে করে ঝোলানো চেয়ারে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। আজই (১৫ সেপ্টেম্বর) সীমান্ত পার হয়েছে তারা তিন ভাই।
আঞ্জুমান পাড়ার বাজারে একটি দোকানের সামনে ছায়ায় রাখা হয়েছে সাব্বিরকে। উৎসাহী সবাই তাকে ঘিরে রাখলেও কেউ তার পঁচে যাওয়া শরীরের চিকিৎসার কথা বলছে না। ত্রাণকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয়, সবাই কেবল তার ভিডিও ও ছবি তুলতেই ব্যস্ত।
চিকিৎসকের কাছে যায়নি কেনো জানতে চাইলে সাব্বির বলে, তারা তিন ভাই এখানকার কিছুই চেনে না। পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনো সীমান্ত পার হতে পারেনি, পথে আছে বলেই তারা এখানে অপেক্ষা করছে।
দেখা গেলো তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গুলির আঘাতে বড় বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে। কোন রকম চিকিৎসা ও ওষুধ ছাড়া জঙ্গলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকায় ক্ষতগুলোতে এরইমধ্যে বড় ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সংক্রামিত স্থানে মাছি বসে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। দ্রুতই তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
আরএম/জেডএম