শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারটা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন শেরুজ্জামান পারভেজ দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোরেশপুর গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে।
অপর নিহত ব্যক্তি হলেন মাসুক মিয়ার পক্ষের লোক এবাদুল্লাহ হক। তিনি বেরীগাঁও গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার গোরেশপুর গ্রামের শেরুজ্জামানের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বেরীগাঁও গ্রামের মাসুক মিয়ার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল।
গত রমজানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শেরুজ্জামানের দলের ছয়ফুল ইসলাম নামে এক যুবককে দাঁত ভাঙে দেয় মাসুক মিয়ার দলের এক যুবক। প্রতিশোধ স্বরূপ বেরীগাঁও গ্রামের কাওসার নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেন শেরুজ্জামানের লোকজন।
এনিয়ে গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিলো। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার দোয়ারাবাজারের চৌমুনা পয়েন্টে শেরুজ্জামানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মাসুকের লোকজন।
পরে স্থানীয়রা শেরুজ্জামানকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শেরুজ্জামানের মৃত্যুর খবর গোরেশপুর গ্রামের জড়িয়ে পড়লে তার উত্তেজিত লোকজন বেরীগাঁও গ্রামের লোকজনের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাসুকের চাচাতো ভাই এবাদুল্লাহ হক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও ১০জন। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।
সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষে দু’জন মারা গেছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭/আপডেট: ১৪১৬/১৫৪৭
এনইউ/এএটি/