শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের হন রেশমা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রেশমার মৃত্যু হয়।
রেশমা সদর উপজেলার নয় নম্বর বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী।
রেশমার বড় ভাই রুবেল গাজী বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে রেশমার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সামনে বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মালিক হাফেজ মজুমদারের পরামর্শে পর তাকে চাঁদপুর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের হন রেশমা। অপারেশন করেন ডা. ফাতেমা বেগম এবং এনেসথেসিয়া চিকিৎসক ছিলেন ডা. ইলিয়াস। অপারেশন থিয়েটার থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে বের করা হয়। পরে দীর্ঘ সময় জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকদের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হয়। তখন তারা জানান, ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে, জ্ঞান ফিরতে দেরি হবে। এরপর কোনো চিকিৎসক তার কাছে আসেনি। সন্ধ্যায়ও জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকদের ডাকলে তারা এসে রেশমাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকদের অবহেলায়ই রেশমার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে হাসপাতালের অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকা জসিম জানান, অপারেশনের পর সন্ধ্যার ৬টা রেশমার অবস্থা ভালো ছিল। জ্ঞান ফেরার পর কথাও বলেছেন। এরপর তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক (সার্জন) ফাতেমা বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, নিয়মানুযায়ী অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশনে কোনো ভুল নেই। মৃত্যু কীভাবে হয়েছে আপনারা বের করেন। আমি এর চাইতে বেশি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে এনেসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
ওসি জানান, অভিযোগ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এসআই