ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারের রেলপথ নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
কক্সবাজারের রেলপথ নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের নকশা

ঢাকা: পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের যাতায়াত সহজ এবং আরামদায়ক করতে সরকার ওই এলাকায় রেলপথ নির্মাণের জন্য পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৫  বছর মেয়াদী এ চুক্তি মূল্য ভ্যাটসহ প্রায়  ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রেল ভবনে এ  চুক্তি হয়।  চুক্তি স্বাক্ষর  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক।

 

চুক্তি স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক  মফিজুর রহমান   ও পরামর্শকদের পক্ষে  এ এস এস  সাবাহ।  

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেললাইন নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পটির ডিপিপি অনুমোদন পায়। ওই সময় ব্যয় ধরা হয় ১৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।  

অর্থের সংস্থান না হওয়ায় গত প্রায় সাত বছরেও সরকার জমি অধিগ্রহণ ছাড়া আর তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি।  
পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়েশেষ পর্যন্ত এডিবি এ প্রকল্পে আগ্রহ দেখায়।  

সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্পটি মিটারগেজের পরিবর্তে পুরোপুরি ব্রডগেজে নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে আপাতত রেলপথটি দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। আর পরবর্তীতে রামু থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে দ্বিতীয় ধাপে।  

সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী এই রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা বা এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে উন্নয়ন সহযোগী এডিবি। এই রেলপথ যাবে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ওপর দিয়ে।  

প্রথম লটে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণ হবে। একই সঙ্গে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।  

আর দ্বিতীয় লটে চকরিয়া থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণ এবং কক্সবাজার আইকনিক ইন্টারমডেল টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ করা হবে। এই ধাপের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৫৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা।  

২০২১ সালের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু  হবে  বলে  জানায় রেলভবন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
এসএ/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।