ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান মুরাদ বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আমি আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মোখলেছুর ফেব্রিক্স অ্যান্ড ক্লথ স্টোরে বসেছিলাম। এ সময় পৌরসভার ফিল্ড এক্সিকিউটিভ তৃষ্ণা আক্তার অতিরিক্ত ময়লার বিলের দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে পৌর মেয়রকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন তৃষ্ণা। এরপর পৌরসভার সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন ও রতন কুমার আমার দোকানে এসে পৌরসভায় নিয়ে যান। পৌরসভায় গেলে মেয়র নিজ কক্ষে নিয়ে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারেন। চেয়ার দিয়ে মারতে মারতে আমাকে ফ্লোরে ফেলে দেন। শুধু তাই নয় আমাকে তৃষ্ণার পায়ে ধরে মাপ চাইয়ে ছাড়েন। পরে আমাকে পৌর মেয়রের কাছ থেকে এলাকাবাসী ছাড়িয়ে নেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র গোলাম কবির মোল্লা বলেন, দুপুর একটার সময় তৃষ্ণা আমাকে ফোন করে কান্নাকাটি করে। মুরাদের কাছে আবর্জনার বাৎসরিক বিল চাইলে সে তৃষ্ণাকে মারধর করে ও অশালীন আচরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, তৃষ্ণাকে মুরাদ আটকে রাখে। পরে পৌরসভার কর্মীরা মুরাদকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। আমি এ বিষয়ে মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এ সময় অন্য কাউন্সিলররাও কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনায় তৃষ্ণা ও মুরাদ একে অপরকে অভিযুক্ত করেন। মেয়র শুধু তাদের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
এমআইএস/জেডএস