বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সাধারণের নোটিশ উত্থাপন করেন জাসদ (একাংশ) দলীয় সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল।
নোটিশের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে রায় দেওয়া হয়েছে, এটা কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। বিএনপি খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে। এমন হতে পারে এ রায়ে জিয়ার অবৈধ ক্ষমতা দখল, বানানো গণতন্ত্র বলা আছে। হয়তো ওটাতে খুশি হয়ে এতোদিন আমরা যা বলতাম সেটা মেনে নিয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে। ’
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে যেসব কথা বলা হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-শিবির যেভাবে কথা বলে, সেই ভাষারই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করেন সংসদ সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন বিচারপতিদের। এখন উনি (প্রধান বিচারপতি) যদি সংসদ সদস্যদের নিয়ে এভাবে কথা বলেন তাহলে ওনার অবস্থান কোথায় থাকে? তিনি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রায়টার ভেতরে সাংঘর্ষিক বিষয় আছে। ওনার বক্তব্যে স্ববিরোধিতা আছে।
তিনি বলেন, আমরা সংবিধানের মূল কাঠামোতে যখন ফিরে গেলাম, তিনি সেটা মানছেন না। তিনি সামরিক অধ্যাদেশকে সংবিধানের মূল কাঠামো বলছেন, এর উদ্দেশ্য কি? কোনো বিষয়ে আপিল হলে আপিলের রায় দিতে পারেন, কিন্তু সংবিধান সংশোধন করে দিতে পারেন না। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সংবিধান ও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/এসকে/জেডএস