বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরার মিছিলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সারাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
সভায় ডিএমপি’র কমিশনার বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র আশুরা মিছিলের নিরাপত্তা দিতে সরকার, প্রশাসন ও পুলিশ সক্ষম ও আন্তরিক। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এবার প্রতিমা বিসর্জনের দিন অবশ্যই দুপুর ৩টার মধ্যে প্রতিমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিসর্জন ঘাটে রওনা দিতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কি দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে এবং সেখান থেকে রাজধানীর সকল পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে।
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি মণ্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভায় কমিশনার বড় বড় পূজামণ্ডপে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করতে ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াড ইনচার্জকে নির্দেশ দেন এবং ৠাবকেও সুইপিংয়ের অনুরোধ জানান। নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি প্রত্যেক পূজা উদযাপন কমিটিকে পূজামণ্ডপে ইন ও আউটের আলাদা ব্যবস্থা, মণ্ডপের ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন এবং পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক রাখার নির্দেশ দেন।
কমিশনার বলেন, পূজামণ্ডপের বাইরের অংশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মণ্ডপের ভেতরে জেনারেটরসহ আলোর ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটি। এবার লালকুঠি ও ওয়াইজঘাটে (প্রতিমা বিসর্জনের স্থান) অবশ্যই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে, যেন প্রতিমা বিসর্জনের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হোসনি দালান, বিবি কা রওজাসহ আশুরার পালনের কয়েকটি স্থান ও তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তার বিষয়েও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন কমিশনার।
সভায় র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), এনএসআই, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পবিত্র আশুরা মিছিল উদ্যাপন কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
পিএম/এএসআর