বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে, তারা হলেন- লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) আব্দুর রশীদ, লে. আবদুল মাজেদ (বাধ্যতামূলক অবসর), রিসালদার (অব:) খান মোসলেমউদ্দিন।
একইসঙ্গে খুনিদের দেশে ফিরিযে আনা ত্বরান্বিত করতে টাস্কফোর্স থেকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জামান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি এও বলেন, পলাতক অন্যান্য আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করতে ইন্টারপোল সদস্যভুক্ত দেশসমুহের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান জানান, জাতির পিতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করতে ২০১০ সালের ২৮ মার্চ আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে টাস্কফোর্স সর্বাত্মক কার্যক্রম হাতে নেয়।
‘২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বর্তমান সরকার নতুনভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই টাস্কফোর্সটি পুনর্গঠনকরা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে একাধিক সভা করেছে। তারা জাতির পিতার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করা ও দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ’
ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবিসহ তথ্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আসামি লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও লে.কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর অবস্থান কানাডাতে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের আইনি জটিলতার কারণে তাদের বাংলাদেশে ফেরত আনতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে চেষ্টা চলছে। ’
এদিকে চট্রগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে মন্ত্রী জানান,দেশে বর্তমানে বিভিন্ন মেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৮৬ জন। তাদের মাথাপিছু গড়ে ৫৬ টাকা হারে প্রতিদিন খাবার বাবদ ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয় হয়।
পুলিশ বাহিনীর নৈতিক মুল্যবোধ নিয়ে বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানকল্পে পুলিশ সদস্যদের আরও সেবাভাবাপন্ন করে গড়ে তুলতে নানামুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘দেশের অভ্যেন্তরীণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, পুলিশ স্টাফ কলেজ,৫টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও ৩০টি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারেও নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার বিষযে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া নুরুল ইসলাম সুজনের অপর এক প্রশ্নে পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
**জিয়া পরিবারের ১২শ’ কোটি টাকা পাচারের তদন্ত চলছে
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএম/এসকে/এমএ