মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতের কোনো এক সময় তাদের হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতদের স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে আমেনা বেগমের (৬০) স্বামী খালেক মিজী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মাজারে থাকতেন। গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে তার বাড়ি। অপরদিকে, তাইজুন বেগমের (৪৮) স্বামী কাশেম বেপারী মারা যাওয়ার পর প্রায়ই মাজারে আসতেন তিনি। সদর উপজেলার বকচর গ্রামে তার বাড়ি। তবে দুই ছেলের সঙ্গে ঢাকার শ্যামপুরে থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মাজারে আসেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন বাংলানিউজকে জানান, মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার গান-বাজনা হতো। এছাড়া মাজারকে কেন্দ্র করে মাদক সেবীদের আনাগোনাও ছিল। মাজারের জায়গা নিয়েও বিরোধ ছিল।
তাইজুনের ভাই কফিল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে হত্যার কারণ আমি বলতে পারছি না। তবে মাজারের জায়গা নিয়ে ঝামেলা ছিল।
মাজারের খাদেম মো. মাসুদ খান বাংলানিউজকে জানান, রাতে খাদেম আমেনা বেগম এবং ভক্ত তাইজুন খাতুন মাজারের ভেতর ছিলেন। সকাল এসে তিনি তাদের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মাজারের ভেতরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসআই