বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি কর্মকাণ্ড একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা যেমন নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের কর্মকাণ্ড-পরিচালনা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি তাদের অর্থের যোগানদাতারাও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। জঙ্গিদের অর্থায়নের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৭, ৮, ৯ এবং ১৩ ধারায় জঙ্গি অর্থায়ন সংক্রান্ত ৯০টি মামলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্স এবং দেশীয় অর্থ কোনো জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত হচ্ছে কি না এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। এছাড়া কোনো বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি তৎপরতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, সীমান্তে অবৈধ অর্থের লেনদেন, আদান-প্রদান, চলাচল ও অস্বাভাবিক অর্থ আদান-প্রদান হচ্ছে কি না সে বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন সংক্রান্ত দায়েরকৃত মামলাসমূহ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জঙ্গি অর্থায়নের সাথে আরও বেশকিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে সন্দেহ করা হচ্ছে। যাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশে জঙ্গি অর্থেও উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদারকরণ এবং এ কার্যক্রম অধিকতর সমন্বয়ের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমূহ নিয়মিমতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এসকে/এসএম/এমজেএফ