তার এখন সময় কাটছে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে।
অর্থের অভাবে আয়শার উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার স্বামী নগরীর গোবরচাকা প্রধান সড়কের মো. আজাদ বিন আমীর ।
একমাত্র ছেলে গালিব হোসেন এইচএসসি পাস করে অনার্স ভর্তির অপেক্ষায় আছেন। মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের করুণ অবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন তিনি।
জীবন বাঁচানোর করুণ আকুতি নিয়ে আয়শা বলেন, সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো সুস্থ হয়ে পৃথিবীর আলো উপভোগ করতে পারবো। আমার একমাত্র ছেলে আরও কিছুদিন মায়ের মমতা পেতো।
আজাদ জানান, একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। ২০১৪ সাল থেকে আয়শার অসুস্থতা টের পাওয়া যায়। এরপর জানতে পারেন দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসা করাতে করাতে ইতোমধ্যে সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, তার বা ছেলের কারও সঙ্গে আয়শার কিডনির গ্রুপ মিলছে না। যার কারণে তাদের থেকে কিডনি নিয়ে স্থাপন করা যাচ্ছে না।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, দিন দিন আয়শার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. এনামুল কবীরের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
আজাদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মৃত্যুপথযাত্রী আয়শার উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০-৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন। স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করেছে স্বামী।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: আজাদ বিন আমীর, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১২০১৫১০৩০৫৪৯৭, ডাচ বাংলা ব্যাংক, খুলনা শাখা। মোবাইল নম্বর- ০১৯৩৫৯৩৮৯৮৫ (বিকাশ নাম্বার)।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/