ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দ্রুতগতির ইন্টারনেট আসছে ৫৭৫ কিমি রেলপথে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
দ্রুতগতির ইন্টারনেট আসছে ৫৭৫ কিমি রেলপথে রেলপথ

ঢাকা: অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে দেশের ৪৪টি উপজেলার ৫৭৫ কিলোমিটার রেলপথজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালু করতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে রেলরুটের যাত্রীরা ট্রেনে বসেই পাবেন ইন্টারনেট, ভিডিও কনফারেন্স, সরকারের ই-সার্ভিসসহ নানা সুবিধা।

অনেক রেলরুটে অপটিক্যাল ফাইবার না থাকায় বর্তমানে কপার ক্যাবল দিয়ে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম চালু রয়েছে। কারিগরি বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতায় এ থেকে কাঙ্খিত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।

কপার ক্যাবলের পরিবর্তে তাই অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপিত হবে।

৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে শুরু করে ২০২০ সালের মধ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলরুটে আধুনিক এ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

ফলে রেল চলাচল ও যাত্রী সুবিধায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। রেলের অপারেশনাল ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গতি আসবে।

রেলওয়ের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত অপটিক্যাল ফাইবার কোর বিটিআরসি’র মাধ্যমে লিজ নিয়ে সেবা দিতে পারবে বেসরকারি ফোন অপারেটরগুলো। ফলে সংলগ্ন এলাকায় সাইবার ক্যাফে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রেলের আয়ও বাড়বে। স্থানীয় মানুষেরাও পাবেন উচ্চগতির ইন্টারনেটের সকল সুবিধা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (টেলিকম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রেল পরিচালনায় আরও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে, শিডিউলমতো ট্রেন চলবে। কখন ট্রেন কোথা থেকে ছাড়ছে, কখন স্টেশনে আসবে- যথাসময়ে সে তথ্য জানা যাবে। ট্রেন পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ভালো কমিউনিকেশন সুবিধা প্রতিষ্ঠিত হবে। রেলমাস্টারদের সুবিধাও বাড়বে।

প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলইঞ্জিন-কোচ বিনষ্ট ও জান-মালের ক্ষতি হচ্ছে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ব্লক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে দুর্ঘটনা কমে আসবে ও ট্রেন চলাচলে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করেন তিনি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে নরওয়ে সরকারের অনুদানে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক সমন্বিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এ নেটওয়ার্কের আওতায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার কম্পোজিট ক্যাবল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

ওই উদ্যোগের আওতায়ই এবার ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে মোহনগঞ্জ রেলরুটে ৫২ কিমি, নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ থেকে জারিয়া ঝাঞ্জাইলে ২১ কিমি, জামালপুরের তারাকান্দি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু রুটে ৩৮ কিমি, কুমিল্লার লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত ৪৯ কিমি, দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড়ে ১০১ কিমি, কাঞ্চন থেকে বিরলে  ৭ কিমি, সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ৫২ কিমি, লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারিতে ৮৪ কিমি, তিস্তা জংশন থেকে রমনাবাজার পর্যন্ত ৪৮ কিমি, রাজবাড়ীর পাচুরিয়া থেকে গোয়ালন্দঘাটে ১১ কিমি, যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৫ কিমি, রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০ কিমি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুর থেকে রহনপুর রেলরুটে ২৬ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।