পূজার নিরাপত্তা নিয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে বিভাগের আট জেলার হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১৬ সেপ্টেস্বর বিকেলে জেলার পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার মোট ৩ হাজার ২৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর রাজশাহী জেলায় রয়েছে ৪শ ২২টি মণ্ডপ। এর মধ্যে জেলায় ৩শ ৫২টি এবং মহানগরীর চার থানা এলাকায় রয়েছে ৭০টি। প্রতি বছরের মতো সরকারের তরফ থেকে এবারও প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকবে।
জানতে চাইলে অনিল কুমার সরকার বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেবীর বোধন। ওই দিন ষষ্টি পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর দিনই প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। পর দিন ১ অক্টোবর আশুরা হওয়ায় বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে সেই সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত বছর মহানগরীতে ৬৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার আরও ৩টি বেড়ে ৭০টি পূজামণ্ডপে হচ্ছে। মণ্ডপগুলোতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ পূজা উদযাপন পরিষদকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া সরকারিভাবে পূজা উদযাপনের জন্য বরাদ্দ অর্থ মণ্ডপগুলোতে দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যেই অধিকাংশ পূজা মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ শেষ হতে চলেছে। নগরীর গণকপাড়া, ঘোড়ামারা কাকলি মাঠ, আলুপট্টি, বোয়ালিয়াপাড়া লাঠিয়াল মণ্ডপ ও সাগরপাড়া এলাকায় প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা ব্যস্ত রয়েছেন। পাশাপাশি পূজামণ্ডপ তৈরির কাজও দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানান হিন্দু ধর্মীয় এই নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এসএস/এএ