সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে কার্য প্রণালী-বিধির ১৪৭ (১) বিধি অনুযায়ী সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অব্যাহত নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ, তাদের নিজ বাসভূমে থেকে বিতাড়ন করে বাংলাদেশে পুশইন করা থেকে বিরত থাকা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা গ্রহণে মিয়ানমার সরকারের উপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হোক।
পরে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাধারণ আলোচনার জন্য নাম প্রস্তাব করেন।
আলোচনার শুরুতেই দীপু মনি বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে একটি কমিটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কফি আনানের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের নিজভূমে ফিরিয়ে নিতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মহল যেন মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।
দীপু মনি বলেন, কতিপয় সন্ত্রাসী মিয়ানমারের পুলিশ ক্যাম্পে হামলা করেছিল। সেই হামলাসহ সব সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই। তাই বলে কি এমন অত্যাচার মেনে নেওয়া যায়? মেনে নেওয়া যায় না। সু চি গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। তার দেশে এমন নির্যাতনে বিশ্ববাসী হতবাক। আমরা সু চির গণতন্ত্রের উপর আস্থা রাখতে চাই। তার উপর আস্থা রাখতে চাই, তিনি যেন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ না থাকেন, তিনি যেন তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকেন, পদক্ষেপ নিন।
কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল বলেন, এ পর্যন্ত ৫ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে। মিয়ানমার একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারা কি অবর্ণনীয় নির্যাতন করছে। এটা নিয়ে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশও সমর্থন দিচ্ছে না।
**ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আমরা কামিয়াব হবো
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এসএম/এএ