সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ ডাক দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, সারাদেশে বার্মার যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা বাংলাদেশ বর্জন করবে।
বাণিজ্যিকভাবে বার্মার সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বার্মিজ সকল ধরনের পণ্য আপনারা বর্জন করুন। তাদেরকে বাণিজ্যিকভাবে কোণঠাসা করে তাদের অস্ত্র কেনা বন্ধ করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার যে মানবিক আচরণ দেখাচ্ছে তা পৃথিবীজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র আরো বলেন, তবে সস্প্রতি সরকার বার্মা থেকে চাল আমদানির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাতিল করতে হবে। যে চালের মধ্য মানুষের রক্ত সে চাল বাঙালি খাবে না। সেই চাল দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশকে মিয়ানমারের সঙ্গে সকল ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে আহ্বান জানান তিনি।
ইমরান বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের এমন অমানবিক আচরণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যে দেশে এতো বড় মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে সে দেশের প্রধান আবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। অশান্তি সৃষ্টি করা বার্মাকে সারা পৃথিবী প্রত্যাখ্যানের ডাক দিচ্ছে।
অবিলম্বে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ করে সেখানকার সকল নাগরিককে নাগরিক অধিকার দিয়ে দেশে ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্য শেষে সোমবার বিকেল ৪টা ১৫মিনিটে শুলশান ২ নম্বর গোল চত্বর থেকে মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্য রওনা হলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।
এরপর গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বারকলিপি প্রদানের জন্য মিয়ানমার দূতাবাসে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
পিএম/বিএস