এছাড়া একদিক থেকে ড্রেন পরিস্কার করা হলেও ঢাকনা উম্মুক্ত থাকায় নোংড়া, আবর্জনা ও ময়লায় পুনরায় ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে ময়লা বর্জ্যের দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্টসহ মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উদ্যোগে সম্প্রতি ফুটপাতের ড্রেন সংস্কার কাজ চলছে। কিছু কিছু স্থানে ড্রেন সংস্কার কাজ শেষ হলেও ড্রেনের ঢাকনা লাগানো হয়নি। ফলে পথচারীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এতে যেকোনো সময় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও অঙ্গহানিও ঘটতে পারে। কিন্তু দৃষ্টি দিচ্ছেনা কেউ। ঈদের আগের দিন নগরীর সাহেব বাজার এলাকার ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে সুলতানাবাদ এলাকার রাজিবুল আলমের পা ড্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়ে মচকে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যার পর একটি মোবাইল শো-রুমের সেলসম্যান গোলাম মর্তুজা ড্রেনের ভিতরে পড়ে যান। এতে করে তার ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কেবল সাহেব বাজারই নয়। নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, গৌরহাঙ্গা রেলগেট থেকে লক্ষীপুর পর্যন্ত, শিরোইল ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে দোশর মন্ডলের মোড় পর্যন্ত, সাগরপাড়া থেকে কল্পনা হলের মোড় পর্যন্ত সড়কে থাকা বেশিরভাগ ফুটপাতের ড্রেনের ঢাকনা বর্তমানে উম্মুক্ত। ওই ফুটপাত দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় আহত হচ্ছেন পথচারীরা। ড্রেনের ওপর দিয়ে পারাপারে ঝুঁকি ছাড়াও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পচা দুর্গন্ধ এবং মশা-মাছির উপদ্রব। উন্মুক্ত ড্রেন থেকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ বাড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরও বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ফুটপাত সংস্কার কাজ এখনও চলছে। কাজটির শেষ পর্যায়ে নগরীর প্রতিটি ফুটপাতের খোলা মুখেই ঢাকনা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তা দুঃখজনক। তবে ড্রেনের ঢাকনাগুলো তৈরি হয়ে গেছে।
সবগুলো ফুটপাতে টাইলস বসানোর কাজ শেষ হলেই ঢাকনাগুলো লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান সিটি করপোরেশনের এ প্রধান প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/