তবে কমিটির কমিটির সদস্যদের কাছে বিআরটিএ যে প্রাথমিক খসড়া গাইডলাইন পাঠিয়েছে সেখানে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কোনো সমাধান নেই। ভাড়া-নৈরাজ্য ও অতিরিক্ত ভাড়ার লাগাম টেনে ধরতে বন্ধ করা হয়েছিল সিটিং সার্ভিস।
রোববার বিআরটিএর সূত্র জানায়, একটা খসড়া তৈরি করে সব সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা তাদের মতামত যুক্ত করে দেবেন।
সিটিং সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান বিআরটিএর পরিচালক(রোড সেইফটি) মাহবুবে রব্বানী অবশ্য রোববার বাংলানিউজকে জানান, ‘নীতিমালার কোনো খসড়া করা প্রস্তুত হয়নি। কোনোকিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ’
এই কমিটির আরেকজন সদস্য জানিয়েছেন, এ সপ্তাহেই বৈঠক হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। বৈঠকে তারা নিজ নিজ পরামর্শগুলো তুলে ধরবেন। তখন এ নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হবে।
বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ‘ভাড়া ঠিক করতেই সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত কিছু নয়। কমিটি নীতিমালা ঠিক করে মন্ত্রণালয়ে দেবে। এরপরও কোনো অধিকতর ভালো আইডিয়া থাকলে সেটিকে যোগ করে নীতিমালার অনুমোদন দেবে মন্ত্রণালয়।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আরেকজন সাংবাদিক-সদস্য জানান, ভাড়া ঠিক করাই ছিল মূল কাজ। এটি বিআরটিএকেই করতে হবে। বৈঠকে বসে আমরা সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটা ভিত্তি দাঁড় করাতে চাই। তবে বিআরটিএ শুরুতে যে খসড়া করেছে তাতে ভাড়ার বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশ নেই।
রাজধানীর সড়কে বিআরটিএর দেওয়া সাধারণ রুট পারমিটে সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়ায় হাজারের বেশি বাস চলছে। সেসব বাসের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে জনঅসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নির্দেশে গত ১৬ এপ্রিল প্রথমে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিটিং সার্ভিস।
পরে মালিকরা বাস না নামিয়ে সড়ক গণপরিবহনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। আবার যাত্রীদেরও একাংশের মত উঠে সিটিং সার্ভিসেরই পক্ষে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধের তিনদিন পিই সিটিং সার্ভিসকে একটি নিয়মের মধ্যে এবং ন্যায়সম্মত ভাড়া কাঠামোয় নিয়ে আসতে বিআরটিএ কমিটি গঠন করে। আর সিটিং সার্ভিস বাসের চলা বন্ধের নির্দেশটাও প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এসএ/জেএম