পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পশ্চিমা ও আরব বিশ্বের দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কূটনৈতিক ব্রিফিং শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ব্রিফের সময় ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি তিন হাজার মানুষকে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিব্লেট বলেন, অস্ট্রেলিয়া সহায়তা দিয়েছে এবং সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের মতো কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় অস্ট্রেলিয়াও।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরেতো লুনডেমো বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন। আনান কমিশনের রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন করা লাগবে।
এদিকে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পরিদর্শনে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া পরিস্থিতি দেখতে একদিনের পরিদর্শনে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার যাবেন বাংলাদেশে নিয়োজিত সব বিদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধিরা।
ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা তথা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের সুবিধার্থে রোহিঙ্গা সেল গঠন করেছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইন রাজ্যে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। এই সংখ্যা এখন সোয়া তিন লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই ঢুকছেন কম করে হাজার দশেক মানুষ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘ্ণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
কেজেড/আইএ