রাজধানীমুখি মানুষের ভোগান্তি চরমে, ছবি: বাংলানিউজ
ঢাকা: পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ শেষে গাবতলীতে বাড়ছে রাজধানীমুখি মানুষের ভিড়। তবে বরাবরের মতো এবারও রাজধানীমুখি মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সেই ভোগান্তির মাত্রা অন্য বারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাবতলীতে রাজধানীমুখিদের সঙ্গে কথা বললে তারা বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
যশোরের ওসমান আলী (৪০) বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় এমআর পরিবহনে উঠেন।
আর গাবতলীতে এসে পৌঁছেছেন সকাল ৯টায়। শুধু ঘাটেই বসে থাকতে হয়েছে ১০ ঘণ্টার বেশি। কি যে ভোগান্তি সেটা বলে শেষ করা যায় যাবে না। ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে এতো সময় গাড়িতে বসে থাকা অসহনীয় ভোগান্তি। কিন্তু কি আর করা বেঁচে থাকার জন্য রাজধানীতে আসা নয়তো আসতেনই না বলেন তিনি। ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থেকে আসা শরিফুল আলম বলেন, আমাদের ভোগান্তি শুনে আর কি হবে। ২১ ঘণ্টা শেষে ঢাকা আসলাম। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টায় হানিফ পরিবহনে সাতক্ষীরা থেকে উঠেন। এরপর দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত কোনো যানজট না থাকলেও ঘাটে এসে ১৪ ঘণ্টার মতো বসে থাকতে হয়েছে। আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখবে না। মাগুরা থেকে আসা নাসিমা ইসলাম বলেন, ভোগান্তির কথা আর জানতে চাইবেন না। গতকাল বিকেল ৩টায় সোহাগ পরিবহনে চেপে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কিন্তু বিধিবাম ভোগান্তিতে পড়তে হয় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে। সন্ধ্যা তখন ৭টার কাছাকাছি পৌঁছান ঘাটে আর ফেরি পার হয়েছেন ভোর ৫টায়। বুঝতেই পারছেন সাত ঘণ্টায় যেখানে আসা যায় সেখানে এসেছেন সকাল সোয়া ৯টায়। এর চেয়ে আমাদের কি আর বলার আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
এসজে/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।