জনস্রোত দেখে বোঝার উপাই নেই, ঈদের ছুটি শেষ। যেন কেবলই শেষ হয়েছে সাংসারিক সব ব্যস্ততা।
রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশুপার্কে গিয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠেছে আনন্দধারার এমনই প্রতিচ্ছবি। শিশুদের সঙ্গে যেন আজ বড়রাও শিশু হয়ে গেছেন। মিলেমিশে একাকার হয়ে যেন নিংড়ে তুলে নিচ্ছেন ঈদের দিনের ফেলে আসা পরমানন্দ।
ঈদুল আজহার ছুটির প্রভাবে সোমবার অনেকটা পাল্টে গেছে যানবাহনে ঠাসা আর কোলাহলে ভরা ছোট্ট রাজশাহী মহানগরীর চেহারা। শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ঈদ জামাতের পর কোরবানি নিয়ে ব্যস্ততা। তারপর থেকে রোদ, কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি। তাই ঈদের তৃতীয় দিনে সকালেই অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন।
আবহাওয়া যাই হোক না, বিনোদন পিপাসুদের কোনোভাবেই চার দেয়ালের মাঝে আটকানো যায়নি আজ।
ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য সবাই একযোগে বেরিয়ে পড়েছেন। আর তাই রিকশার নগরীতে আজ বেড়ানোর অন্যতম বাহন রিকশার কদর তুঙ্গে, ভাড়াও বেশি।
মৌসুমি রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে বিনোদন কেন্দ্রমুখী মানুষের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া হাঁকাচ্ছেন। এতে বেকায়দায় পড়ছেন বিনোদন কেন্দ্রে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। আর উটকো যানবাহনের কারণে নগরীর শহীদ জিয়া শিশুপার্কসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টেই কিছুটা যানজট দেখা গেছে।
শহীদ জিয়া শিশুপার্কে বেড়াতে আসা শেফাউত উল্লাহ বলেন, ঈদের দিন থেকে তার ছয় বছরের মেয়ে তানজিলা খেই ধরেছে এখানে আসবে। কিন্তু কোরবানির ব্যস্ততা আর অতিথি আপ্যায়নে গত দু’দিন কেটেছে। তাই আজ রোদ-গরম উপেক্ষা করেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে শিশুপার্কে এসেছেন। এতে মেয়ের খুশি আর ধরে না। মেয়ের খুশিতে আনন্দে আটখানা হয়ে তিনিও বিভিন্ন রাইডস উঠে মেয়ের সঙ্গে মজা করছেন।
নিলুফার ইয়াসমিন নামের এক গৃহিণী জানালেন প্রায় একই অভিপ্রায়। ছেলের জেদের কারণে শিশুপার্কে আসা। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণি, ট্রেন, সাইকেলিং রাইডস উপভোগ করেছে তারা ছেলে নাঈম। আরও রাইডসে উঠবে। তাই আবার টিকিট কাটতে কাউন্টারে যাচ্ছেন। ছেলের জন্য বেড়াতে এসে এই দৌড়ঝাঁপে তারাও বেশ ভালো লাগছে বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এসএস/জেডএস