প্রতিষ্ঠানটি শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হয় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম।
এরপর বিরতিহীনভাবে চেষ্টা চালিয়ে দিবাগত রাত ২টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
সোমবার (০৩ সেপ্টম্বর) বিকেলে রাসিক’র প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন ডলার বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি দাবি করে বলেন, এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে সাধারণ মানুষের তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও প্রত্যেকে সচেতন ছিলেন। রাসিক থেকে সরবরাহ করা সবুজ পলিব্যাগে বর্জ্য সংরক্ষণ করেন। পরে বিকেলে রাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ব্যাগ সংগ্রহ করেন।
এছাড়া যারা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেননি তারাও গর্ত খুঁড়ে কোরবানির রক্ত পুঁতে দিয়েছেন। আর কোরবানির বর্জ্য ফেলেছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা স্বাভাবিক নিয়মেরই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। রাসিক’র আহ্বানে সাধারণ মানুষ তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি জানান।
মোহাম্মদ মামুন ডলার জানান, প্রথমে শহরের অলিগলি ও ঘুপচি পথে পড়ে থাকা পশুর বর্জ্য অপসারণ করে মূল সড়কে নিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়। এরপর শুরু হয় ট্রাকে তুলে মহানগরীর টিকর এলাকার ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া। রাসিক’র এ অপসারণ কার্যক্রমে ঈদের দিন রাতেই মহানগরীর সব এলাকার বর্জ্য চলে যায় ডাম্পিং স্টেশনে। এভাবে দুই ধাপে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়।
বিকেলে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা ছিল। কোথাও বর্জ্য ও অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকার খবর পেলেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও গাড়ি পাঠানো হয়। যেখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখানে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে পূর্বে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন রাতেই ঝকঝকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন মহানগরীতে পরিণত হয় রাজশাহী।
এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৪শ’ পরিচ্ছন্নকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করেন। বিশেষ ব্যবস্থায় ছয়টি ইঞ্জিনের সঙ্গে ১২টি ট্রলি যুক্ত করা হয় এবং আটটি হাইড্রলিকের মাধ্যমে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে প্রায় সাড়ে ৮শ’ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৭
এসএস/জিপি