ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোরবানির সুস্থ গরুর আট লক্ষণ ও জরুরি পরিচর্যা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
কোরবানির সুস্থ গরুর আট লক্ষণ ও জরুরি পরিচর্যা গরুর রং যেন কালো হলে ভালো। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। দেশে প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। এবার আরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে, যার মধ্যে গরুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এবার প্রস্তুত থাকা এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশুর মধ্যে  শুধুমাত্র গরুর সংখ্যাই ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে কোরবানি উপলক্ষে পরিকল্পিত প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে মোটা-তাজা করা গরু রয়েছে ১১ লাখ ২৭ হাজার।


 
অনেকে কোরবানির গরু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়েন। কোরবানির গরুটি সুস্থ কি-না- এ নিয়ে থাকে নানা প্রশ্নও। গরু কেনার ক্ষেত্রে আটটি বিষয়ে ক্রেতাদের বিশেষ খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল। কেনা গরুর প্রতি কিছু জরুরি পরিচর্যাও করতেও বলা হয়েছে।
 
হাসপাতালটি বলেছে,  ‘কোরবানির গরুর দৈহিক আকার বর্গরুপ কি-না- খেয়াল রাখতে হবে। দৈহিক আকার বর্গরুপ হলে সে গরু কোরবানির জন্য ভালো। চামড়া ঢিলা, শরীরের হাড়গুলো আনুপাতিক হারে মোটা, মাথা চওড়া ঘাড় চওড়া ও খাটো হলে বুঝতে হবে, গরুটি সুস্থ’।
 
দৈহিক আকার বর্গরুপ হলে সে গরু কোরবানির জন্য ভালো।  ছবি: জি এম মুজিবুর‘দেখতে হাল্কা, অথচ কোনো রোগ নেই-  এ অবয়ব ফুটে উঠলেও বুঝতে হবে, গরুটি সুস্থ। সুস্থ গরুর পাগুলো খাটো ও সোজাসুজিভাবে শরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। গরু অপুষ্ট বা দুর্বল, কিন্তু রোগা নয়- এমন গরু কেনার ক্ষেত্রেও কোনো বাঁধা নেই’।

‘কোরবানির গরুর পেছনের অংশ ও পিঠ চওড়া, লোম খাটো ও মেলানো থাকলে ধরে নিতে হবে, গরুটি সুস্থ। আড়াই বছরের বা কমপক্ষে দুই দাঁতের গরু কিনতে হবে। শংকর জাতের গরু অল্প সময়ের মধ্যেই বেড়ে ওঠে, এসব গরু কেনাও উত্তম। তবে কালচে লাল বা কালো গরুর চাহিদা বেশি, সাদা গরুর চাহিদা কম। সুতরাং গরুর রং যেন কালো হয়।
 
কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের চিফ ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাটে ক্রেতারা গরু কিনতে গিয়ে অনেক সময় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েন। তবে আটটি লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে যে, গরুটি সুস্থ। সেজন্য কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই আটটি লক্ষণ দেখে কোরবানির গরু কিনতে বলা হয়েছে’।
 
‘পছন্দের গরু কেনার পরে কিছু যত্ন ও পরিচর্যাও করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কাছের পশু হাসপাতালে গোবর পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে গরুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাইয়ে কৃমিমুক্ত করতে হবে। পালের সকল গরুকে একসঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে’।
 
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় একটি সুস্থ গরু কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করি। সেজন্য কোরবানির গরুকে কৃমিমুক্ত করা জরুরি। কৃমি গরুর রক্ত খায়, গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। মুরগির মতো গরুর পেটেও কৃমি ডিম থেকে লার্ভা তৈরি করে।   লার্ভা থেকে হয় কৃমি। সুতরাং, কোরবানির গরুকে অবশ্যই কৃমিমুক্ত করতে হবে’।
 
‘প্রয়োজনে তড়কা, বাদলা, ক্ষুরারোগ ও গলাফুলা রোগের টিকা দিতে হবে’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।