বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুর থেকে অতিজোয়ারে এ রুটের ইলিশা ঘাট তলিয়ে চার ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। পানিতে কোনো যানবাহন ওঠানামা করতে না পারায় উভয় পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, অপেক্ষাকৃত নিচুস্থানে ঘাট স্থাপনের কারণে জোয়ার এলেই অ্যাপ্রোচ সড়ক ও র্যাম তলিয়ে যায়। এতে ফেরি থেকে কোনো যানবাহন ওঠানামা করতে পারে না। তখন ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় ইলিশা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ৪/৫ ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে ঘাট। লক্ষ্মীপুর থেকে আসা কুসুমকলি, কৃষাণী ও কনকচাপা নামে তিনটি ফেরি যানবাহন নিয়ে ঘাটে অপেক্ষমাণ। কিন্তু পানি থাকায় পরিবহন ও ট্রাক নামতে পারছে না। যার ফলে কোনো যানবাহন উঠতেও পারছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।
বিকল্প ব্যবস্থায় কিছু কিছু যাত্রীকে নৌকা দিয়ে ফেরি থেকে নামতে দেখা যায়। তবে মালবাহী পরিবহন ফেরিতেই আটকা পড়ে আছে।
শ্রমিকরা জানালেন, ভাটায় পানি নেমে গেলেই এসব যানবাহন ওঠানামা করবে। গত দু’দিন ধরে ঘাটের এ অবস্থা হলেও কারো মাথা ব্যথা নেই।
কৃষাণী ফেরির মাস্টার মফিজুল ইসলাম বলেন, ইলিশা ঘাটে লো এবং হাই দু’টি ঘাট দরকার। কিন্তু সেখানে একটি মাত্র লো ঘাট রয়েছে। এতে সামান্য জোয়ার এলেই পানিতে ঘাট তলিয়ে যায়, তখন লোড-আনলোড বন্ধ থাকে।
ভোলার তজুমদ্দিন থেকে ইলিশ বোঝাই ট্রাকের চালক বলেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইলিশা ঘাটে বসে আছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সিরিয়াল পাইনি। ট্রাকে ইলিশ রয়েছে ঢাকা নেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ে না যেতে পারলে মাছ নষ্ট হয়ে যাবে।
ঘাটের অ্যাসিস্টেন্ট আবুল বাসার বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘাটের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে প্রতিদিন শত শত পরিবহন যাতায়াত করলেও সেবার মান বাড়ানো হয়নি। একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত রুটটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
জেডএস