বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েব সাইটে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনেও দেখা গেছে নদীর বিভিন্ন ঘাটগুলোতে পানি কিছুটা কমেছে।
বিকেল ৩টায় বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েব সাইটে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদী বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে।
বিকেল ৩টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৬৪ দাগে (এমপিডবি¬উডি)। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৭৪ দাগে। অর্থাৎ একদিনে শীতলক্ষ্যার পানি কমেছে অন্তত ১০ সেন্টিমিটার। শীতলক্ষ্যার বিপদসীমা হচ্ছে ৫.৫০ দাগে। এর আগে শীতলক্ষ্যার পানি সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৬.৯৩ দাগে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বাংলািনউজেক জানান, শীতলক্ষ্যার পানি কমছে। দ্রুতই পানি হ্রাস পাবে আতিঙ্কত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শীতলক্ষ্যা নদী হয়ে ধলেশ্বরী দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত দু'দিন অমাবস্যা, পূর্ণিমার সময় পানি কমে বাড়ে। তবে এখন পানি কমবে। কারণ উজানের নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। এখন আর ঢাকাসহ এর আশে পাশের শহর বন্যা কবলিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা খোঁজ নিয়েছি, আমাদের জেলা নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিত হয়নি। তাছাড়া পাঁচটি উপজেলায় সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি উপজেলাতেই এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথায় কোথায় আশ্রয় কেন্দ্র হবে এবং সেগুলো তদারকিতেও কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এএটি/