বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আটককৃতদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এ সময় ব্রিফিং করেন র্যাব-৯ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর জামসেদুর রহমান।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাতে সিলেট মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গাড়িচোরেরা লোকচক্ষুর অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি চুরি করে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। তারা মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, পিকআপসহ আরো বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চুরি করে বিক্রয় করে।
চোরাই গাড়িগুলো তারা বিক্রয় করতে না পারলে নম্বর প্লেট নকল ও রং পরিবর্তন করে রাস্তায় ভাড়া চালায় চালাতো। কখনো নিজ হেফাজতে রেখে এ গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে খুচরা ও পাইকারি দরে বিভিন্ন অটোমোবাইলস ওয়ার্কসপে বিক্রি করে এবং ভাঙাড়ি হিসেবেও বিক্রি করে বলে আটককৃতরা স্বীকার করে।
আটককৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদরের উচাইল গ্রামের মৃত আমানত উল্লাহর ছেলে সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট মজুমদার মুন্না মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জুবায়ের আহম্মদ ওরফে জুবেদ (১৯), টাঙ্গাইল সদরের রাঙ্গাচিরা (পূর্বপাড়া) গ্রামের সবুর শেখের ছেলে ও আম্বরখানার বাসিন্দা সাত্তার হোসেন (২৪), জৈন্তাপুর উপজেলার মিত্রাখাল পূর্ব গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে জীবান হোসেন বাপ্পী (৩২) এবং সিদ্দিক (১৮) ও একই উপজেলার শৌকেনপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাদিক আহম্মদ (১৮)।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের অভিযানিক দল। উদ্ধারকৃত গাড়িটি জুলাই মাসে জালালাবাদ থানা এলাকা থেকে চুরি হয়।
এ বিষয়ে থানায় একটি মামলাও হয়েছে। উদ্ধারকৃত গাড়ি ও গ্রেফতারকৃতদের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এনইউ/এএটি/