সংস্থাটি বলছে, জলাবায়ু প্রকল্পগুলোতে স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে সাবেক মন্ত্রীর আত্মীয়, সংসদ সদস্য, সচিব ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের প্রভাবকে গুরুত্ব দিচ্ছে পাউবো। বাঁধনির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সুশাসন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’ শীর্ষক টিআইবির এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠাবে গবেষণাপত্র উত্থাপন করেন টিআইবির প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোলাম মহিউদ্দিন।
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ড. সুমাইয়া খায়ের, প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ মাসুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, ছয়টি প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় জনগণ জানে না। সবার অগোচরে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে পাউবো। ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে চারটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাব খাটিয়েছেন।
এসব প্রকল্পে পাউবোর জোগসাজেশে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রী নেতা, সাবেক মন্ত্রীর আত্মীয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণের কথা গুরুত্ব না দিয়ে প্রভাবশালীদের প্রাধান্য দিচ্ছে পাউবো।
একটি প্রকল্পের ঠিকাদার খাল খননের মাটি বাঁধের পাড় টেকসই না করে নিজের ইটভাটায় ব্যবহার করছেন।
বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়ম চরমে উঠেছে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
হাওর অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন সময় হাওর এলাকা পরিদর্শন করে পাউবোর বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে। হাওরে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজেশে দুনীর্তি হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটিএফ) অর্থায়নে পাউবো ২০০৯-১০ অর্থবছরে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত মোট ১৪১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাউবোর বাস্তবায়িত জলবায়ু প্রকল্পগুলোতে মোট অর্থায়নের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা।
এসব অনিয়ম বন্ধে পাউবো গঠিত ‘নৈতিকতা কমিটি’কে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশেরও সুপারিশ করেছে দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থা টিআইবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমআইএস/এমএ