ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কী খাচ্ছি তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে রয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
কী খাচ্ছি তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে রয়েছে বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ; ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। কী খাচ্ছি তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারের একার পক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সকলকেই এ বিষয়ে  সতর্ক হতে হবে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) হোটেল সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা সম্মেলন-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণঃ সকলের দায়িত্ব'।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। জমির আয়তন কমেছে, মানুষ বেড়েছে। তারপরেও হাসিনা সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে পেরেছে। তিনি বলেন, বিশ্বে হালাল খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। তাই এ ধরণের শিল্পের বাংলাদেশে সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। যারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করেন তাদের বলতে চাই আইন আছে অচিরেই তা কার্যকর হবে। সেজন্য তিনি খাদ্যে শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে সজাগ হতে বলেন।
 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন,বিদেশে মানুষ নিশ্চিন্তে রাস্তার ভেজাল মুক্ত খাবার খান। আমরা আমাদের দেশের খাদ্যকে এই মানে নিয়ে যেতে চাই।

বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিই, বিএফএসএ, এমসিসিআই,এফআইসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

খাদ্য সচিব কায়কোবাদ হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এক সময় উপযোগী আইনের অভাব এটিকে আরো কঠিন করে তুলেছিলো। এ জন্য ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। মোড়কের খাবার যে কোনো স্থান থেকে সংগ্রহ করে টেস্ট করা হবে। ক্ষতিকর ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি-এর চেয়ারম্যান মোহম্মাদ মাহফুজুল হক বলেন, ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে ৫ বছরব্যাপী (২০১৭-২১) কর্মপন্থা প্রণয়ণ করা হচ্ছে। খাদ্যশিল্পে যারা জড়িত তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে।

ফুড এফএও-এর বাংলাদেশের প্রধান টেকনিকাল এডভাইজার নিয়াকি মিনামিজুকি বলেন, খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য পরিদশর্কের প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা বাড়ানো দরকার।

এফএও ন্যাশনাল টিম লিডার একেএম নূরুল আফসার বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে উৎপাদক থেকে ভোক্তা সকলের দায়িত্ব রয়েছে। আইন মানতে সকলকে বাধ্য করলেই এ বিষয়ে সফলতা আসবে।

এমসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবীর বলেন,  এসডিজি অর্জন করতে হলে নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সঠিক তিনবেলা খাবারই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে।

এফআইসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট রুপালী চৌধুরী বলেন, আমাদের খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা যে কোনো শর্তে বজায় রাখতে কাজ করে যেতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে সজাগ হতে হবে।

বিএসটিই-এর মহাপরিচালক সাইফুল হাসিব বলেন, দেশে এখন খাদ্য ঘাটতি নেই। তবে খাদ্যমান ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সবারই সহযোগিতা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
কেজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।