পুরো কার্যক্রমটি তদারকি করছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রশীদ।
সাম্প্রতিক বন্যায় পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর বন্যার্ত মানুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, ফারিয়া, প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় প্রয়োজনীয় ওষুধ।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, পানিবাহিত রোগসহ বন্যার্ত মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় গঠন করা হয়েছে ১৩টি মেডিকেল টিম।
সরকারের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে এ কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন।
পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার জন্য ব্লিচিং পাউডার প্যাকেটজাত করে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় সৈয়দপুরে বন্যা পরবর্তী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনও বজলুর রশীদ জানান, এবারের বন্যায় রাস্তাঘাট ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। পর্যাপ্ত ওষুধও মজুদ রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার ধকল কেটে মানুষ এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছেন। তবে উপজেলার কামারপুকুরে বন্যা উপদ্রুত এলাকার অনেক মানুষ চর্ম ও পেটের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে মেডিকেল টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এসআই