বিসিসি’র পরিছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাত থেকে বড় একটি এক্সকেভেটর দিয়ে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত পুরাতন ডাম্পিং প্লেসের ময়লা-আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু করা হয়।
দিপক লাল মৃধা আরো বলেন, সকালে ডাম্পিং প্লেসে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সিটি মেয়র ও অন্যান্য কর্মকর্তারা গিয়েছিলেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান ডাম্পিং প্লেসের পাশে সিটি করটোরেশনের জায়গা রয়েছে। আর সেই জায়গায় পরবর্তীতে নগরের ময়লা এনে ফেলা হবে।
এদিকে একদিন ময়লা না নেওয়ায় নগরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ পরে যাওয়ায় তা ঘিরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের শেষের দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়ার পুরানপাড়া, হোসনাবাদ, কাউনিয়া ও সাপানিয়া সংযোগ এলাকায় ছয় একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয় ডাম্পিং স্টেশন। ওই সময়ে স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে একটি টিনের চালাসহ একটি চুল্লি নির্মান করা হয়েছিলো, যা কিছুদিন পরেই বিকল হয়ে যায়। পাশাপাশি বর্জ্য আধুনিক পদ্ধততিতে রিসাইক্লিনিং করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ ১ যুগের বেশি সময় ধরে ময়লা ফেলতে ফেলতে এলাকাটি ময়লার স্তুপে ভরে গেছে।
এ বিষয়ে বিসিসির পরিছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, প্রতিদিন নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে ১শ’ টনের মতো বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্টেশনটিতে ফেলা হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ বর্জ্য ধ্বংস করার জন্য সেখানে অধুনিক ব্যবস্থা নেই। বর্জ্য মাঝেমধ্যে পুড়িয়ে ফেলা হলেও কঠিন পদার্থগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। এখন তো সেখানে ময়লার গাড়িই ঢুকতে পারছে না, তাই ট্রাকচালকরাও নগরীর বর্জ্য ট্রাকে তুলছে না।
** জায়গা সংকটে বরিশাল নগরের বর্জ্য পরিষ্কার বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমএস/জিপি