ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের ছুটি বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
ঈদের ছুটি বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়নি মন্ত্রীসভার বৈঠক

ঢাকা: মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও উদুল আজহা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসবে সরকারি ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়নি।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  
 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংষ্কার) এনএম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

 
 
ঈদ এবং পূজার ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এজেন্ডভূক্ত ছিলো না। এজন্য এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।  
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ছুটি বাড়ানোর জন্য নির্বাহী আদেশ প্রয়োজন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গত ঈদের আগেও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিলো।  
 
প্রধানমন্ত্রীর কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঈদের সরকারি ছুটি তিন দিনের স্থলে ছয় দিন এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের সরকারি ছুটির সঙ্গে দু’দিন করে চার দিন ঐচ্ছিক ছুটির প্রস্তাব করেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন ইউনিট।  
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সেই প্রস্তাবে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকাসহ অন্য বড় শহরগুলো থেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বেশির ভাগ মানুষ ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ি বা নিজ শহরে যান। কিন্তু ছুটি সীমিত থাকায় পরিবহনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ, দুর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ দূরপাল্লার যাত্রাপথে দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এতে মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মারাত্মক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানিও ঘটে।  
 
প্রস্তাবে আরও যুক্তি তুলে বলা হয়, ঈদ শেষে অফিস খোলার পরবর্তী দু-এক দিন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে কর্মচারীরাও ঠিকমতো উপস্থিত থাকেন না।  
 
সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন প্রধান ধর্মীয় উৎসবের সময় সরকারি ছুটি বাড়ানো হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। পাশাপাশি ছুটি বাড়লে উৎসবের আগে ও পরে যাত্রাপথে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমবে। উৎসব পালনও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে বলে প্রস্তাবে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল।
 
এসব যুক্তি ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে নৈমিত্তিক ছুটি বিদ্যমান ২০ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করে বাকি ছয় দিন দুই ঈদের ছুটির সঙ্গে তিন করে সমন্বয় করতে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে ঈদের সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি বাতিলের প্রস্তাবনা ছিল।
 
আর অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের সরকারি ছুটির সঙ্গে দু’দিন করে মোট চার দিন ঐচ্ছিক ছুটির প্রস্তাব করেছিল ইনোভেশন ইউনিট।  
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই প্রস্তাব পাঠায়। এতে আরও বলা হয়, পবিত্র ঈদে ছুটি বাড়ানো হলে মোট ছুটির সময় ঠিক থাকবে। ফলে সরকারি কার্যক্রমের জন্য সময় কমবে না। এতে সরকারি কাজেরও ক্ষতি হবে না। অন্য ধর্মের মানুষদের জন্যও ছুটির ভারসাম্য থাকবে।
 
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।