ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদযাত্রায় শুরু থেকেই ভোগাবে বেহাল সড়কপথ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
ঈদযাত্রায় শুরু থেকেই ভোগাবে বেহাল সড়কপথ! এমনই বেহাল সড়কপথে এবারের ঈদযাত্রা; ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক থেকে: আর মাত্র ক’দিন বাদেই ঈদুল আযহা।এরই ম‌ধ্যে শুরু হয়ে গেছে বাড়ি যাওয়ার তোড়জোর। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাবেন নগরবাসী। বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও বিমানযোগে ছুটবেন তারা শেকড়ের টানে।

লঞ্চ, ট্রেন ও বিমানপথে কিছুটা স্বস্তিদায়ক যাত্রা হলেও এবার ঈদ যাত্রীদের ভোগাবে সড়কপথ। এই ভোগান্তি যাত্রার শুরু থেকেই সঙ্গী হবে।

যেনবা কঠিন এক পুলসেরাত পাড়ি দিয়ে তবেই পৌঁছাতে হবে মায়ের কোলে, স্বজনের অমল সান্নিধ্যে।

যারা ঈদে গ্রামে যাবেন, তাদের মনে রাখা ভালো রাজধানীর কল্যাণপুর থেকেই আপনার সঙ্গী হবে অশেষ ভোগান্তি। দেশের উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের যাত্রা শুরু হয় সাধারণত কল্যাণপুর, গাবতলী থেকেই।

কল্যাণপুর থেকে গাবতলী বড়জোর দুই কিলোমিটার পথ। কিন্তু বেহাল রাস্তায় ঈদের আগে এই দূরত্বটুকু পার হতেই লেগে যেতে পারে এক ঘণ্টা। রাস্তায় এক থেকে দুই ফুট গভীর অসংখ্য গর্ত, গাড়িতে চললে মনে হবে সাগরের ঢেউয়ে দুলছে বাসটি।

ঈদের আগ মুহূর্তে সংস্কারকাজ শেষ না হলে আনন্দের ঈদযাত্রাকে বিষাদে আর যন্ত্রণায় ভরিয়ে তুলবে বেহাল সড়ক। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে আবার অসংখ্য গরুবাহী ট্রাক ঢুকতে থাকবে রাজধানীতে। তখন যে কী অবস্থা দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।

যন্ত্রণাময় দোলায় দুলতে দুলতে গাবতলী পার হলেও সাভারে গিয়ে পড়তে হবে দীর্ঘ, অন্তহীন যানজটে। এরপর বাইপালে দীর্ঘতর হবে হবে গাড়ির লাইন। বাইপাইলের জটলা সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে বলে মনে করছেন চালকরা। বাইপাইল মোড় থেকে মিনিবাস, ট্রাক ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ যাওয়ার পথে সৃষ্টি হবে এই জট।

বাইপাইল থেকে ধুঁকে ধুঁকে কচ্ছপগতিতে গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকবে। এরপর ভোগাবে এলেঙ্গা। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার সড়কটি যে কোনো এক সময় পিচঢালাই ছিলে তা মনেই হবে না বর্তমান অবস্থা দেখে। উঁচু-নিচু, খানাখন্দময় সড়কে বৃষ্টি হলেই গাড়ি চলাচল হয়ে পড়বে দূরূহ।

বেহাল, করুণ চলাচল-অনুপযোগী রাস্তা সম্পর্কে হানিফ পরিবহনের অত্যাধুনিক ভলভো বাসের চালক সৈয়দ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় কিছুটা কাজ হয়েছে। তবে এখনো অনেক জায়গা ভীষণ খারাপ। বৃষ্টি হলে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে যাবে।

কল্যাণপুর থেকে রংপুর যাবার পথে এখনই বাইপালে আধা ঘন্টার জট। আর এলেঙ্গা ২০ মিনিট। এই মহাসড়কের বেশির ভাগ জায়গার অবস্থা খুবই করুণ। রাস্তার পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

হানিফ ভলভো গাড়ির যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ট্রিপ এখনো শুরু হয়নি, তাতেই এই অবস্থা। এবার ঈদের যাত্রা যে কেমন হবে বলা মুশকিল।

কল্যাণপুর থেকে সিরাগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা। রংপুর পৌঁছাতে আরো ৪ ঘণ্টা লাগবে বলে জানান চালক সৈয়দ আহমেদ। সকাল ১০টার গাড়ি ছাড়ে ১০টা ৩৫ মিনিটে। এভাবেই এবারের আনন্দের ঈদযাত্রায় ভোগান্তির অপর নাম হয়ে উঠবে বেহাল, নাজুক সড়কপথ।

বাংলাদেশ সময়:১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এসএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।