ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিমলায় মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
ডিমলায় মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ!

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় অন্তঃসত্তা শেফালীকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মাকে বাড়ির উঠানে বেঁধে রেখে তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২০ আগস্ট) ভোররাতেে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দুর্গম চর পশ্চিম ছাতুনামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরুদ্ধে এ ঘটনা ঘটান স্থানীয় বখাটেরা।

ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দুরে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।

এ সময় তার হাত-পা বাধা ছিল।

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভোরে মাকে বাড়ির উঠানের পাশের একটি খুঁটিতে মুখে কাপড় গুঁজে ও হাত বেঁধে রেখে মেয়েকে নিয়ে যান বখাটেরা। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিকেল তিনটায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশি পাহারায় মেয়েটিকে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ জানান, মুখ বেঁধে ৩/৪ জন তাকে ধর্ষণ করেছেন।

নির্যাতিতার মা বলেন, ‘মেয়ের স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমি মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ জামাই বাড়িতে বসবাস করি। রোববার ভোররাতে প্রতিবেশী মিস্টার, রহিম, দেলওয়ার, চেতনাসহ ১০/১২ জন আমার মেয়ের রুমে ঢুকে তাকে হাত পা বেঁধে নিয়ে যান। এ সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমার মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যান। আমার নাতনির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন’।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ইউনিয়নের দুর্গম পশ্চিম ছাতুনামা চরে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারীতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এএসআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।