ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খামারে গরুপালন গৃহস্থালি যত্নে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
খামারে গরুপালন গৃহস্থালি যত্নে খামারে গরুপালন গৃহস্থালি যত্নে। ছবি: বাংলানিউজ

রাজবাড়ী: গৃহস্থ বাড়ির মতো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন করা হচ্ছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ‘টেন স্টার’ কৃষিখামারে। খামারটিতে বিভিন্ন জাতের ৬০টি গরু রয়েছে। গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ভুট্টা ভাঙা, গমের ভূষি ও ধানের কুড়াসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক খাবার।

আসন্ন ঈদ-উল আযহায় বাজার ভালো থাকলে ও ভারত থেকে গরু আমদানি না করা হলে ভালো লাভের প্রত্যাশা করছেন খামারটির মালিকেরা।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত বছর এলাকার উঠতি ও মধ্যবয়সী দশজন বেকার ব্যক্তি ‘টেন স্টার’ খামারটি গড়ে তোলেন।

১৫টি দিয়ে শুরু করা এ খামারের গরুর সংখ্যা মাত্র এক বছরেই ৬০টিতে পৌঁছেছে। দেশি, হরিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও সিংদি প্রজাতির গরুগুলোর দাম ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বলে জানান উদ্যোক্তারা। গরুগুলোর সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় রয়েছেন বেতনভূক্ত কর্মচারীরাও।

খামারটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গরু মোটা-তাজা করতে আমাদের খামারে কখনোই রাসায়নিক খাদ্য এবং স্টোরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না। প্রাকৃতিক খাদ্যেই গরু মোটা-তাজা করি। এজন্য দুই একর জমিতে নেপোলিয়ন ঘাসের চাষ করেছি। একই সঙ্গে ভুট্টা, খড়, খৈল, গমের ভূষি, ধানের কুড়াসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবারও খাওয়ানো হয়’।

খামারটিকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখছেন মালিকেরা। তাদের রয়েছে নানা পরিকল্পনাও। এর মধ্যে গরুর বিষ্ঠা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

ম্যানেজার বাবর আলী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘কোনো ধরনের ব্যাংকঋণ ছাড়াই খামারটি গড়ে তুলেছি। নিজেরাই দিন-রাত শ্রম দেই খামারে। কিন্তু এটির তদারকিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে কখনোই কেউ আসেন না। বরং, কোনো গরু অসুস্থ হলে যোগাযোগ করলে সেখানে গরু নিয়ে যেতে বলেন তারা। আর যদি আসেনও, তাহলে তাদের মোটা অংকের ফি দিতে হয়’।

তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরুগুলোকে মোটা-তাজা করেছি। সরাসরি খামার থেকেও গরু বিক্রি করা হবে। ভালো, উন্নতমানের নির্ভেজাল গরু কোরবানি দিতে ক্রেতাদের এখানে যোগাযোগের অনুরোধ জানাচ্ছি’।

পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে আমি খামারটি পরির্শন করেছি। প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু মোটা-তাজা করা ভালো উদ্যোগ। এ গরুর মাংস নির্ভেজাল। এ রকম খামার ওই এলাকায় আরও গড়ে ওঠেছে। আমাদের দফতর থেকে সবগুলো খামারকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।