দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির ২০ থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে বেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে আসছিলেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পৌলী এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেলসেতুর গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে আসছিলেন জাকির। এতে সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় পিলারগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে ধসে গেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, ওই জায়গায় মাটি উত্তোলন ও বিক্রিকে কেন্দ্র করে পাঁচ লাখ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণের মামলা আদালতে বিচারাধীন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। পানি বাড়ায় বর্তমানে মাটি উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, রেলসেতুটি যদি অবৈধভাব মাটি উত্তোলনের কারণে ধসে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (২০ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে পৌলি নদীর উপর রেলসেতুর অ্যাপ্রোচের প্রায় ২০ ফুট মাটি ধ্বসে যায়। এতে বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
টিএ/এসআই