দুই মাস পর্যটক প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকার পর বোরবার (২০ আগস্ট) থেকে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
সিলেট বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্রমাগত পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণের কারণে মাধবকুণ্ডের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ব্যাপক ফাটল ও ধস দেখা দেয়।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের নানাপ্রান্ত থেকে ছুটে আসা হাজারো পর্যটক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। তারা প্রাকৃতিক এই ঝর্ণাটির সৌন্দর্য উপভোগ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরএসএম মুনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই দু’ মাস আমরা এই মাধুবকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্রটি বন্ধ রেখেছিলাম। গত জুন মাসের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাধবকুণ্ড ভেতরের মূল রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। যে সড়কটি ধরে মূল জলপ্রপাতে যেতে হয় সেই রাস্তাটির প্রায় ৪০ মিটার অংশ ডুবে গিয়েছিল। জলপ্রপাতের শেষ মাথায় সিঁড়িগুলোর সমস্ত মাটি সরে গিয়ে মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। ফলে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাগুলো এড়াতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে আমরা গত দুই মাসে প্রাথমিক অবস্থায় তখনও মেরামত করতে পারিনি। বৃষ্টিতে বোঝা যাচ্ছিল না যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটুকু এবং আমাদের মেরামতগুলো কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। গত ১৩ আগস্ট কাজ শেষ হলেও আমরা এক সপ্তাহ মেরামতের স্থান এবং অংশগুলো অবজারভেশনে রাখার পর অবমুক্ত করেছি।
প্রাকৃতিক এ জলপ্রপাতটি এবং এর অরণ্যঘেরা প্রকৃতি যে কত সুন্দর হতে পারে তা এখানে না এলে উপলদ্ধি করা কঠিন। যারা প্রকৃতিকে নিবিড়ভাবে ভালোবাসেন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো নিজচোখে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতে চান তাদের জন্যই অপেক্ষা করছে এই জলপ্রপাত - জানান ডিএফও আরএসএম মুনিরুল ইসলাম।
এই মনোমুগ্ধকর ‘মাধবকূন্ড জলপ্রপাতটি’ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলি এলাকায় অবস্থিত এবং পাথারিয়া পাহাড় হতে উৎসারিত। প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতা থেকে অবারিত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে প্রতি সেকেন্ডে দ্রুতগতিতে পানি প্রবাহের পরিমাণ ৫০০ কিউসেক।
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ ফি ২০/- টাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র সম্বলিত শিক্ষার্থীদের জন্য ১০/- টাকা এবং বিদেশে পর্যটকদের জন্য ৫ ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
বিবিবি/এসএইচ