ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যস্ততা নেই সদরঘাট লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
ব্যস্ততা নেই সদরঘাট লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে! ব্যস্ততা নেই সদরঘাট লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে, ছবি: দীপু মালাকার

সদরঘাট থেকে: ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বাস-ট্রেনের টিকিট বিক্রির লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট ক্রয়ের চিত্র দেখা গেলেও উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কথা থাকলে কোনো ব্যস্ততা নেই কাউন্টারগুলোতে।

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও খোলেনি বেশিরভাগ কাউন্টার।

এর মধ্যে কিছুতে চলছে এখনো ধোয়া-মোছা কিংবা নির্মাণের তাড়াহুড়ো। টিকিট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা ছাড়াও ময়লা আবর্জনা, নির্মাণ সামগ্রীর ছড়াছড়ি টিকিট কাউন্টারগুলোর চারপাশে। ব্যস্ততা নেই সদরঘাট লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে, ছবি: দীপু মালাকারযে কয়েকটি খুলেছে তাদের আবার মাস্টার না আসায় তারাও টিকিট বিক্রি বা টিকিটের কোনো হদিস দিতে পারছেন না। মাইকে দু-একবার সব কাউন্টার খোলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা কাউন্টারগুলোর দৃশ্য।

অপরদিকে টিকিট প্রত্যাশী মানুষের ভিড় নেই বললেই চলে। যথাযথ প্রচারণার অভাব ও লঞ্চের রেওয়াজ অনুযায়ী লঞ্চেই টিকিট বিক্রি বা ফোনে টিকিট কনফার্মের ব্যবস্থা থাকায় অগ্রিম টিকিটে আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। তবে কিছু যাত্রী অগ্রিম টিকিটের খোঁজে আসলেও টিকিট কাউন্টারগুলোর সার্বিক অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে বসে আছেন কাউন্টার খোলার অপেক্ষায়।

কথা হয় টিকিট প্রত্যাশী ঝালকাঠির রেজাউলের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৩০ তারিখের জন্য টিকিট কিনতে এসেছি। পত্রিকায় দেখলাম আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সে অনুযায়ী এসে দেখি টিকিট কাউন্টারে মানুষ নেই। আমি সুন্দরবনের টিকিট কিনবো, কিন্তু কাউন্টারের কোনো মানুষ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বরিশালের টিকিট কিনতে হচ্ছে।

অপরদিকে হুলারহাটের টিকিট কিনতে আসা শফিউল বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৩০ তারিখের টিকিট কিনতে আসছি, কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে কোনো টিকিট নাই। সব আগে থেকেই বুকিং হয়ে আছে। ১০ মিনিটে কিভাবে বুক হলো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে সালমা ওয়াটার ওয়েজের বুকিং সহকারী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে কাউন্টার খুলেছি, কিন্তু কাউন্টারে আমাদের টিকিট খুব বেশি বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছেনা। কারণ অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে খুব বেশি প্রচারণা চালানো হয়নি। মূলত সরকারের আদেশ মানার জন্যই এখানে বসা!

একই মত মেসার্স শাহরুক এন্টারপ্রাইজের বুকিং সহকারী ইকবালের। তিনি বলেন, বাস বা ট্রেনে যাতায়াতকারীরা অনেক সময় ট্রেন পরিবর্তন করেন কিন্তু লঞ্চের ক্ষেত্রে এমন না। প্রায় একই লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন অনেকেই, তাই লঞ্চ মালিক বা মাস্টারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক হয়ে যায়। পরে প্রয়োজনে ফোনে টিকিট কনফার্ম করে রাখে।

নির্ধারিত সময়ে কাউন্টার না খোলার কারণ জানতে লঞ্চ লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২০ আগস্ট) থেকে অফিসিয়ালি লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। তবে এখন সব টিকিট ফোনে বিক্রি হয়ে যায়। তাই কাউন্টারে লোক কম। তবে এভাবে টিকিট বিক্রির সুযোগ খুব কম।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
ডিআর/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।