ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

১২ লাখ টাকায় রাজস্থানি উট!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
১২ লাখ টাকায় রাজস্থানি উট! ১২ লাখ টাকায় রাজস্থানি উট, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। গরু-ছাগলের পাশাপাশি উট কোরবানি দিতে পছন্দ করেন অনেকে।

এসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে কোরবানির জন্য ঢাকায় আসতে শুরু করেছে উট। রাজধানীর পশুর হাটে গরু, মহিষ ও ছাগলের পাশাপাশি অনেক বিত্তবানের কাছে উটের চাহিদাও তুঙ্গে।

তবে দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো থেকে আসা উটই তাদের প্রথম পছন্দ। এর পেছনে কিছু ধর্মীয় আবেগ বা সেন্টিমেন্টও জড়িত।

তবে আমদানি করা উটের মধ্যে ভারতের মরুরাজ্য রাজস্থানের উটই সংখ্যায় বেশি। এর কারণ প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় রাজস্থান থেকে উট আমদানি করা সহজতর। তাছাড়া এই উটের দাম এবং আনার পেছনে খরচও তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ লোহার গেটে দেখা গেল উৎসুক জনতার ভিড়। সবার দৃষ্টি উটের ওপর নিবদ্ধ। কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা টিনশেডে রাখা হয়েছে উটগুলো। বেড়ার চারপাশে জনতার ভিড়। সবাই মনের সুখে উট দেখছেন। ১২ লাখ টাকায় রাজস্থানি উট, ছবি: বাংলানিউজবিশালাকায় তিনটি উট বুধবার ভারতের রাজস্থান থেকে দেশে আনা হয়েছে। কোরবানির ঈদে বিত্তবান ও সৌখিন ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উটগুলো ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এনেছে। উটগুলোকে ঘাস, খৈল, ভুষি, খড় খাওয়ানো হচ্ছে।

সাদিক অ্যাগ্রোর দাবি, প্রতিটা উট থেকে ১০ থেকে ১১ মণ মাংস পাওয়া যাবে। দামও পড়বে ১১ থেকে ১২ লাখ। ফলে উটের প্রতি মণ মাংসের দাম পড়ছে প্রায় লাখ টাকা।

সাদিক অ্যাগ্রো-সূত্র জানায়, ভারতের গুজরাট ও রাজস্থানের থর মরুভূমি এলাকা থেকে উট আমদানি করা হয়। এগুলোকে ‘খরাই উট’ বলা হয়। এর আরও একটি বৈজ্ঞানিক নাম আছে তা হলো ‘ইকো টোনার স্পিসিজ’। এর অর্থ এই প্রজাতিটি সমুদ্র ও মরুভূমি দুই ধরনের ইকো সিস্টেমে দারুণ মানিয়ে নিতে পারে।

থরাই উটের দু’ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। এক কুঁজ-বিশিষ্ট এবং দুই কুঁজ বিশিষ্ট। তবে সাদেক অ্যাগ্রোতে এক কুঁজ বিশিষ্ট উই আমদানি করা হয়েছে।

সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার উটগুলো রাজস্থান থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। প্রতিটা উট থেকে ১১ থেকে ১২ মণ মাংস পাওয়া যাবে। দামও ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা। পৃথিবীতে যত ধরনের কোরবানি পশু আছে সবই আমার কাছে পাওয়া যাবে। এর আগে দুবাই থেকে দুম্বা, ছাগল ও আমেরিকার টেক্সাস থেকে গরু আনা হয়েছে। কয়েক জাতের দুম্বাও আমার খামারে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাজস্থান থেকে উট আনলাম। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমআইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।