এতে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ১০টি ও শেরকোল ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম সহ মোট ১৫টি গ্রাম নতুন ভাবে প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার সময় থেকে এই বাঁধ সড়ক দিয়ে পানি উপচে পড়া শুরু হয়েছে।
নতুন করে প্লাবিত এলাকাগুলো হচ্ছে, তাজপুর ইউনিয়নের তেমুক নওগা, চরতাজপুর, তাজপুর, ভাদুরিপাড়া, হিয়াতপুর, হরিপুর, শহরবাড়ি, মাহমুদপুর, চরপাড়াসহ ১০টি গ্রাম এবং শেরকোল ইউনিয়নের জোড়মল্লিকা, মবকুড়ি, খরমকুড়ি, শাহবাদপুর ও ভাগনগরকান্দি গ্রাম।
তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন ও শেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় সিংড়া উপজেলার নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হলেও এসব গ্রামগুলো এর আগে অনেকটা নিরাপদেই ছিল।
কিন্ত আজ সন্ধ্যার পর থেকে সড়কটি ডুবে গিয়ে পানি উপচে পড়ায় নতুন ভাবে এই ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে এ সমস্ত গ্রামের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে আত্রাই নদীতে হঠাৎ করেই পানি বেড়ে যায়। উজান থেকে পানি নেমে আসার কারণে এখানে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যমুনা নদীতে পানি অনেক নিচে নেমে গেছে। আশা করি দুই একদিনের মধ্যে এই এলাকাতেও পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি বিপদজনক বলেই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
আরআই