শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা সেন্ট্রাল হসপিটালের চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার থেকে তাকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে (সিসিইউ) রাখা হয়েছিল।
তবে শনিবার রাতে সেন্ট্রাল হসপিটালের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বোর্ড টিপু সুলতানের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। এর পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মরহুমের ছেলে সাদাব আরও জানান, রোববার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ প্লাজায়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে তাকে যশোরে আনা হবে। বাদ আছর যশোর শহরে জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে সংসদীয় এলাকা মণিরামপুরে।
সেখানে বাদ মাগরিব জানাজা শেষে জন্মস্থান খুলনার ডুমুরিয়ায় নেওয়া হবে। বাদ এশা ডুমুরিয়ায় শেষ দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে খান টিপু সুলতান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্যের কাছে পরাজিত হন। তবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি নির্বাচনী মাঠেই ছিলেন, দিন ১৫ আগেও নৌকা প্রতীকের পক্ষে তাকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
ইউজি/এজেডএস/আরআই