ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে মুক্তিযুদ্ধে অসুবিধা হয়নি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে মুক্তিযুদ্ধে অসুবিধা হয়নি বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অসুবিধা হয়নি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গভীর অন্তঃদৃষ্টি ছিল। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়নি।

শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালমনাই ফ্লোরে ‘স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ঢাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

ড. মসিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল গণতন্ত্র ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তিনি দেশের ও সমাজের মানুষের অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নিতেন। একজন স্যার সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে ২৫ পৃষ্ঠার লেখা পাঠালেন। তখন তিনি বললেন সমাজতন্ত্র যদি এতো সহজে প্রতিষ্ঠা করা যেত তাহলে স্টালিন এত মানুষ মারতো না। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমি আর কোনো মানুষ মারতে চাই না। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানবতার প্রতি ভালোবাসা। গণতন্ত্র সবার অধিকার স্বীকার করে। আমাদের সংবিধান ও আওয়ামী লীগের দর্শনে এটি প্রতিফলিত হয়েছে।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একদিনে সংঘটিত হয়নি। এটা মূলত দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র। যেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধু উদার মনের মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। এজন্য তিনি সেসব কিছুকে আমলে নেন নি।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যারা হত্যাকারী ছিল তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছে। চক্রান্ত চলছে প্রতিদিন। স্বাধীনতাকে সুসংসহ করতে হলে আমাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে। এটাই আমাদের ১৫ আগস্টের শিক্ষা।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুটি কারণে স্বতন্ত্র। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যটি হচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য ভূমিকা। আমাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়ে গেছে। তা অনুসরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।