বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩ জন প্রতিযোগী ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এদের মধ্যে তিনজন পর্যবেক্ষক, টিম ম্যানেজার, টিম কোচ এবং আটজন প্রতিযোগী ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় কাজাকিস্তান প্রথম, রাশিয়া এবং চীন সম্মিলিতভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। অন্যান্য দেশের মধ্যে- ভারত ১১তম, থাইল্যান্ড ১৪তম এবং গ্রিস ১৬তম স্থান অর্জন করে।
‘আন্তর্জাতিক আর্মি গেমস্’ আয়োজনের মূল লক্ষ্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা এবং ‘স্নাইপার’ প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এতে অংশ নিয়ে কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সুনাম বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
রাশিয়ার ট্যাংক ভিয়েতলনে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো আর্মি গেমস ধারণাটির প্রচলন শুরু হয়। অলিম্পিক গেমসের আদলে অন্যান্য দেশকে প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালে ‘আন্তর্জাতিক আর্মি গেমস’ এর প্রচলন করে। ২০১৭ সালে বৃহৎ এ আন্তর্জাতিক সামরিক প্রতিযোগিতা তৃতীয়বারের মতো ‘আন্তর্জাতিক আর্মি গেমস্’ নামে ২৯ জুলাই হতে ১২ আগস্ট বিশ্বের পাঁচটি দেশে অনুষ্ঠিত হয়। দেশগুলো হলো- রাশিয়া, আজারবাইযান, বেলারুশ, কাজাকিন্তান এবং চীন।
ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকা হতে ২৮টি ক্যাটাগরিতে ২৮টি দেশের মোট ১৫০টি টিম ওই গেমসে অংশ নেয়।
কাজাকিস্তান ‘স্নাইপার ফ্রন্টিয়ার’, ‘মাস্টার্স অব আর্টিলারি ফায়ার’ এবং ‘ড্রোন প্রতিযোগিতা’ নামে তিনটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সামরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সৃজনশীল একটি চিন্তার প্রকাশ হলো ‘আন্তর্জাতিক আর্মি গেমস্’।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ, নতুন যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন এবং সামরিক সদস্যগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়াই এ গেমসের প্রধান উদ্দেশ্য।
‘স্নাইপার ফ্রন্টিয়ার’ প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে টার্গেটকে নিশানা করা এবং বিভিন্ন বাঁধা অতিক্রম করা। আয়োজক দেশ এ সমস্ত সরঞ্জামাদি প্রতিযোগীদের জন্য সরবরাহ করে থাকে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এসআরএস