প্রতি বছর এই সময়টায় যেনো কামাররা নিশ্বাস নেওয়ার সময়ই পান না।
মাগুরা নতুন বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে একটি কামারশালা।
কাজ করতে করতে বাংলানিউজকে বলেন, আকার ও আকৃতি ভেদে একটা চাপাতি তৈরি করতে ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকি। দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির দাম সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের হয়।
গোবিন্দ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, কয়লা না থাকার কারণে বেশি অর্ডার নিতে পারছি না। যে দোকানে গ্যাসের চুলা আছে তাদের অর্ডার একটু বেশি হয়। আমার দোকানে গ্যাসের চুলা নেই। তবু্ও এ বছর কাজের চাপ ও অর্ডার বেশি থাকায় গত বছরে চেয়ে একটু বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি।
তিনি আরো বলেন, এ সময় প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করছি। এতে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখে-শান্তিতে আছি।
গোবিন্দ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, লেখাপাড়া করতে পারি নাই। নিজের তেমন কোন টাকা পয়সা ছিল না। তাই এই কামারের কাজ করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারছি। তাদের কামারের কাজ শেখাই নাই।
তিনি বলেন, লেখাপড়া করতে না পারায় দু:খ থাকলেও এই কাজ করে আনন্দ পাই।
সুকান্ত বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমার জানা মতে, তিনি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কামারের কাজ করছেন। এখন এই কাজ করে তিনি সংসার চালান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
জেডএম/