ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিপদসীমা ছাড়িয়েছে শীতলক্ষ্যার পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
বিপদসীমা ছাড়িয়েছে শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে শীতলক্ষ্যার পানি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন এলাকায় চলছে বন্যার আগমণ বার্তা। নদী তীরবর্তী এলাকা এখন পানির কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে শীতলক্ষ্যার পানি। 

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে এমনটাই জানা গেছে।

 

তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন ভিন্নমত পোষণ করে জানিয়েছেন শীতলক্ষ্যার পানি এখনো বিপদসীমা ছাড়েনি। এছাড়া নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার ওয়াকওয়ে ঘুরে শীতলক্ষ্যার পানি ওয়াকওয়ে ছুঁই ছুঁই।
  
বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েব সাইটে দেওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ১৩ আগষ্ট রাত ১২টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৪.৯৯ দাগে (এমপিডব্লিউডি)। ১৪ আগষ্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৪.৯৩ দাগে। ১৫ আগষ্ট বিকেল ৬টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.০৬ দাগে। ১৬ আগষ্ট বিকেল ৬টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.২২ দাগে। ১৭ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৩৫ দাগে। ১৮ আগষ্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৪৪ দাগে। ১৯ আগষ্ট বিকেল ৩টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিল ৫.৫৪ দাগে। জানা গেছে, শীতলক্ষ্যার বিপদসীমা হচ্ছে ৫.৫০ দাগে। অর্থাৎ ১৯ আগষ্ট শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে শীতলক্ষ্যার পানি সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৬.৯৩ দাগে।
 
তবে ভিন্নমত পোষণ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শীতলক্ষ্যার পানি সাধারণত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হয়ে আসে যমুনা নদী থেকে আসে। বর্তমানে যমুনার পানি বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ১ মিটার ও তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে শীতলক্ষ্যার পানি বাড়ছে। তবে তারা ১৯ আগষ্ট শনিবার বিকেল ৩টায় মেপে দেখেছেন শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তবে জোয়ার ভাটার কারণে সঠিক পরিমাপ করা যাচ্ছেনা। বিকেল ৬টায় আবার মাপার পরেই তারা নিশ্চিত হতে পারবেন।  
 
তিনি আরো জানান, শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে নারায়ণগঞ্জের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। তবে শহর এলাকা উঁচু হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা শহর এলাকায় কম বলে তিনি জানান।
 
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, তারা ইতিমধ্যেই পাঁচটি উপজেলায় সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাঁচটি উপজেলাতেই এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথায় কোথায় আশ্রয় কেন্দ্র হবে এবং সেগুলো তদারকিতেও কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে যা জেলা প্রশাসকের তত্বাবধায়নে রয়েছে। যখন যেখানে যা প্রয়োজন সেগুলো জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে তারা পৌঁছে দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬ 
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।