শনিবার (১৯ আগস্ট) নদীর পানি আরো বেড়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাত হাজার হেক্টর জমির আমন ধান।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নওদাপাড়া এলাকায় সিধাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে তেমুক নওদাপাড়া বিলের প্রায় ৮০০ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এছাড়া সিংড়া-বলিয়াবাড়ির তিন কিলোমিটার রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় ওই এলাকার ১৫ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, আত্রাই নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দিয়ে উল্টো বাজারেই প্রবল বেগে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে পৌর শহর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সিংড়া উপজেলার বলিয়াবাড়ি এলাকায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তাজপুর, বলিয়াবাড়ি, ভাগনগরকান্দিসহ বেশ কয়েকটি বাঁধ হুমকির মধ্যে রয়েছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬/৭টি স্থান হুমকির মধ্যে রয়েছে। সেসব স্থানে বালির বস্তা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আপাতত এসব ভাঙ্গার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাজ্জাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ৩৪০০ হেক্টর জমির রোপা ও বোনা আমন ধান সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত হয়েছে। আর আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে ৩৮০০ হেক্টর জমির ধান। সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হওয়া ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২/১ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষতি হবে না আর আংশিক ডুবে যাওয়া ধানের কোন ক্ষতি হবে না।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ৪০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এনটি