শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত সামত আলীর ছেলে আবুল কাশেম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে বর্তমান খান বাহাদুর আহছান উল্লা (র) কলেজের পেছনে বাগেরহাট, বরিশাল, খুলনা অঞ্চল থেকে ভারতগামী শরণার্থীদের সম্পদ লুণ্ঠনে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দেবহাটা-কালিগঞ্জের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা আব্দুল করিম ওরফে করিম মিয়ার হাত ধরে রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান। মুক্তিযুদ্ধে দেবহাটা এলাকা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর আবুল কাশেম আত্মগোপনে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছুদিন পর আবুল কাশেম এলাকায় ফিরে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে থাকেন এবং বুলেট বিদ্ধ হয়ে যুদ্ধাহত বলে ভারতীয় চিকিৎসকদের দেয়া একটি জাল সার্টিফিকেট দেখান। পরে আবুল কাশেম নানা কৌশলে সবাইকে ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ লাভ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও তার শাস্তি দাবি এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার আলফাজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০১৭
আরএ