শনিবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হলো- দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, রংপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট,নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, যমোর, শেরপুর, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা।
এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৯৪১টি। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ চার লাখ ৬৮ হাজার ৬০৯ হেক্টর। হাঁস-মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট হাজার ৩৪২টি।
ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের মধ্যে ৩১ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই হাজার ৭৮৯ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৭৯ কিলোমিটার।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৫৫৬টি।
বন্যায় ৯৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখ ৯৭ হাজার ২৫৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হেয়ছে ২০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, নগদ টাকা ছয় কোটি ৫০ লাখ এবং ৩৮ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ জেলায় এক হাজার ৭৯৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
শাহ কামাল আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো দ্রুত মোরামত এবং রাস্তাঘাট ও বাঁধসমূহ সর্বোচ্চ সহনীয় করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত মেরামত এবং বন্ধ প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিশেষ ক্লাসের নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন চালু কর্মসূচি এবং সম্প্রসারিত করা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে।
এছাড়া এনজিওদের জন্য এক বছর ঋণের টাকা তোলা বন্ধ রাখা, গোখাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য মাছের পোনা ও ঋণের ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত টিউবওয়েল মেরামত ও সেনিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ