আর এরই সঙ্গে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিচরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সঙ্গে ভারত সীমান্তবর্তী অরক্ষিত ১শ ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার আওতায় এসেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ২২৭০নং সীমান্ত পিলার থেকে ২২৮৪নং সীমান্ত পিলার পর্যন্ত। এখানে ১৪টি সীমান্ত পিলার ও তিনশটি সাব পিলার রয়েছে। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ৯টি বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাগুলো হচ্ছে, আরানিছড়া, টেক্কাছড়া, শিলছড়ি, উত্তর শিলছড়ি, লক্কাছড়া, উত্তর লকড়াছড়া, লান তাড়াল, বিপুছড়ি ও ধুপশীল। পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ৫১ বিজিবি।
অন্যদিকে ৫৪ বিজিবির আওতাধীন সীমান্ত এলাকা হচ্ছে ৯৭ কিলোমিটার। ২২৮৪নং পিলার থেকে শুরু করে সীমান্তের ২৩০৯ পর্যন্ত। এই এলাকায় রয়েছে ১১টি বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট (বিওপি)। ৯টি বিওপির কাজ শেষ হলেও ২টি পোস্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এলাকাগুলো হলো, করল্লাছড়া, শেয়ালদাহ পাড়া, গন্ডাছড়া, ইউথংনং পাড়া, ইগলছড়ি, যৌকুই, চিংগুনুই, ফান্তালং, সাতইউ, কাচালং-১ ও কাচালং-২।
দুর্গম হওয়ায় অধিকাংশ এলাকার বিওপি নির্মাণের উপকরণ এবং বিওপিতে অবস্থানরত বিজিবির সদস্যদের খাদ্য সামগ্রী পাঠাতেও ব্যবহার করতে হচ্ছে হেলিকপ্টার।
৫১ বিজিবির অধিনায়ক লে. ইকবাল হোসেন বলেন, ৫১ বিজিবির আওতাধীন পুরো সীমান্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিজিবি সদস্যরা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আসায় যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
৫৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম সাইফুল বাহার বলেন, বিওপি নির্মিত দুর্গম পাহাড়ের অনেক এলাকায় কোনো বসতি নেই। মাসে একবার হেলিকপ্টারে করে রশদ সরবরাহ করতে হয়। যাতায়াতে কষ্ট। এমন দুর্গম এলাকায় দায়িত্ব পালন করা চ্যালেঞ্জিং। আমরা বলতে পারি পাহাড়ের অরক্ষিত সীমান্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
চোরচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিচরণ বন্ধ করার লক্ষ্যেই সরকারের এ উদ্যোগ বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
আইএ