সরেজমিন দেখা গেছে, হাটে পশু রাখার স্থান বাঁশ দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। উট-ভেড়া-ছাগলের জন্য ছাউনি দেওয়া স্থায়ী পাকা মেঝে আগে থেকেই আছে।
ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রয়োজনীয় পানির, এছাড়া খামারি-বেপারিদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়া ফ্যান, বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে কায়দামতো।
হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার দেড় লাখের মতো পশু হাটে উঠতে পারে। আর সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে হাটের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বেচা-কেনা এখন থেকেই অল্প বিস্তর চলছে। তবে মূল হাট শুরু হবে ঈদের পাঁচ দিন আগে। তখন কোরবানির পশুতে ভরে যাবে গাবতলির হাট।
জানাগেছে, পশু বেচা-কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতার জন্য একশ’ টাকায় সাড়ে তিন টাকা হাসিল নির্ধারিত রয়েছে। তবে ঈদের পাঁচ দিন তা বেড়ে পাঁচ টাকা হবে, যা সিটি করপোরেশনই প্রতি বছর নির্ধারণ করে থাকে।
ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য নিশ্চিত করা হচ্ছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়। প্রথম স্তুরেই রয়েছেন প্রায় এক হাজার ভলান্টিয়ার, ইজেরাদারের তত্ত্বাবধানে তারা কাজ করবেন। এরপর রয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
থাকছেন ভেটেরিনারি ডাক্তার। অসুস্থ গরু হাটে ঢোকানোর চেষ্টা করলে ধরা পড়তে হবে প্রবেশ পথেই। কেননা, সেখানে সার্বক্ষণিক চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সন্দেহ হলেই পরীক্ষা করেই পশু ফেরত পাঠানো হবে।
হাটে পশু বিক্রির জন্য কোনো খামারি বা বেপারিকে টাকা দিতে হবে না। তবে কোরবানি উপলক্ষে হাটের বাইরে ইট-বালুর ইজাদাররা টাকার বিনিময়ে জায়গা ভাড়া দেন। ফলে গাবতলীর পশুর হাটের আয়তন বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যেখানে খামারি-বেপারিদের পশু রাখতে এক থেকে দেড়শ’ টাকা করে নেওয়ার কথা রয়েছে।
দীর্ঘ আট বছর ধরে এ হাটের ইজারা নিয়ে আসছে এইচ এন (হাজি নুরুল) ব্রিকস নামের একটি কোম্পানি। যার স্বত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। কোম্পানিটির পরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, হাট প্রস্তুত। তবে বাইরে যারা জায়গা ভাড়া দেন, তারা এখনো প্রস্তুত করেন নি। এর ওপর আমাদের কর্তৃত্ব না থাকলেও, যেহেতু গাবতলী হাটের অংশ হিসেবেই তা পরিচিতি পায়, তাই আমাদের সুনাম জড়িত থাকে। আর এ কারণেই এক থেকে দেড়শ’ টাকার বেশি তাদের না নেওয়ার প্রতি আমাদের একটা খবরদারি থাকে। তবে এর বেশি নেওয়া হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর মূল হাটে দেশের যেকোনো নাগরিক যেখানে জায়গা ফাঁকা পাবেন, সেখানেই পশু রেখে বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি জানান, অসুস্থ পশু হাটে তোলার কোনো সুযোগ নেই। প্রবেশ প্রথেই সার্বক্ষণিক চেকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সন্দেহ হলেই পরীক্ষা করে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস