সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী ও আড়িয়াল খাঁ বেষ্টিত সন্যাসীরচর, বহেরাতলা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন। এর মধ্যে গত তিনদিনেই চরাঞ্চলে পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।
উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ বেপারীর কান্দি, মোনা বেপারীর কান্দি, নুরু বেপারীর কান্দি, ছিরু চৌধুরীর কান্দি, মালেক তালুকদার কান্দি, নেছারউদ্দিন সরকারের কান্দি, রুস্তুম বেপারীর কান্দি, করিম বেপারীর কান্দি গ্রামগুলো পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া এ সব গ্রাম পুরোটাই পানির নিচে তলিয়ে আছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মা নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পানিতে পুরো চরাঞ্চল তলিয়ে যাওয়া এবং একই সঙ্গে ভাঙন দেখা দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরের মানুষ।
এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ভাঙনে ভিটে বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো চর ছেড়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে।
নদী ভাঙনের শিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহ আলম বলেন, ‘চরে আমাদের যে সম্পত্তি ছিল তা সব শেষ। শুধুমাত্র এখন নদীর পাড়ের এই ভিটেটি আছে। তাও হয়তো আজকের মধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। চরের বাইরে মূল-ভূখণ্ডের দিকে পাঁচ বছরের জন্য একজনের জমি লিজ চাচ্ছি। যেখানে গিয়ে আশ্রয় নেবো। এতদিনের জন্য কেউ জমি দিতেও চাচ্ছে না। কোথায় যাবো তা অনিশ্চিত। ’
চরজানাজাত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোতালেব বেপারী বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বসতবাড়ি, হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট কিছুই অবশিষ্ট নাই। ’
এদিকে, মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর থেকে শিবচরের বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের মধ্যে সরকারি সাহায্য দেয়া হবে। সকাল থেকে প্রস্তুতি চলছে। জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম চরাচঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০১৭
আরএ