এর মধ্যেই দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় বসলো শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমির দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ হলেও বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের নার্সারিতে ৪৯ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৮ জন এবং চতুর্থ শ্রেণিতে ৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এর মধ্যে নার্সারিতে একজন ও চতুর্থ শ্রেণিতে ২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাহাঙ্গীর ভুইয়া জানান, বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করায় মেয়েসহ তার পুরো পরিবার মেয়ের নানির বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় মেয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।
তবে বন্যার কারণে পুরো উপজেলার সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরেও অক্সফোর্ড একাডেমিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
অক্সফোর্ড একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন খান বাংলানিউজকে জানান, চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ সকালের শিফটে চারটি ক্লাসের ২১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন অনুপস্থিত ছিলো। শ্রেণিকক্ষে পানি না ওঠায় পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী শিখা জানান, বন্যার পানির কারণে সিংগাইর উপজেলা ছাড়া অপর ছয়টি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আর অক্সফোর্ড একাডেমিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিতান্তই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিষয় বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
জেডএস